Thursday, May 7, 2015

মেসির কাছে বায়ার্নের হার ( মেসির জোড়া গোল VIDEO)

পেপ গার্দিওলার কোনো কৌশলই কাজে লাগেনি; রোখা যায়নি লিওনেল মেসিকে। আর্জেন্টিনা তারকার অসাধারণ নৈপুণ্যে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বার্সেলোনা।

 কাম্প নউতে বায়ার্নকে উড়িয়ে দেওয়ার রাতে ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিটে জোড়া গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড ভাঙা-গড়ার লড়াইয়ে আবার রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে যান মেসি।

 ম্যাচের আগের দিন প্রতিপক্ষ কোচ গার্দিওলার কথাই সত্যি প্রমাণিত হয়। মেসিকে রোখা অসম্ভব! নেইমারের শেষ গোলটাতেও ছিল আর্জেন্টিনা অধিনায়কের অবদান।


ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট এলোমেলো খেলার পর দ্বাদশ মিনিটে গোলের প্রথম ভালো সুযোগটি পেয়েছিলেন লুইস সুয়ারেস। 

অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বল পেয়ে এগুনো উরুগুয়ে তারকার সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার। 

সুয়ারেসের শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন জার্মান এই গোলরক্ষক। তিন মিনিট পরেই আবার গোলের সুযোগ আসে। এবার এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সের ভেতর থেকেই সুয়ারেস পাস দিয়েছিলেন নেইমারকে। 

কিন্তু ব্রাজিল তারকা ঠিকমতো বলে পা লাগাতে পারেননি। ১৮তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ হেলায় হারায় বায়ার্নও। টমাস মুলার ডান দিক থেকে বল পাঠিয়েছিলেন ডি-বক্সে। 

কিন্তু মুখে চোটের কারণে প্রতিরক্ষা মুখোশ পরে খেলতে নামা রবের্ত লেভানদোভস্কি ঠিকমতো শট নিতে পারেননি গোলরক্ষককে একা পেয়েও। তিন মিনিট পরেই আবার বার্সার আক্রমণ। 

পায়ের কারুকাজ দেখিয়ে মেসি বল বাড়িয়েছিলেন ডি-বক্সে, তবে সেখানে অপেক্ষমান নেইমারের নাগাল পাননি। ২৭তম মিনিটে কর্নার থেকে সুয়ারেসের হেড চলে যায় ক্রসবার উচিয়ে।

 ৩৬তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিকও ঠিকঠাক বুঝে বল হাতে জমান নয়ার। ৩৯তম মিনিটে আবার বায়ার্নের রক্ষাকর্তা নয়ার। রক্ষণের উপর দিয়ে ইনিয়েস্তার দারুণ পাসে আলভেসের আচমকা শটও পা দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা এই গোলরক্ষক।

 দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বার্সেলোনার ডি-বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় বায়ার্ন; তবে চাবি আলোনসোর বল বাধা পায় রক্ষণ প্রাচীরে।

৭৭তম মিনিটে দেখা মেলে মেসি ঝলকের। ডান দিক থেকে দানি আলভেসের বল পায়ে জমানোর পর বাঁ পায়ের মাপা নীচু শটে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ৮০তম মিনিটে মেসির দ্বিতীয় গোলটাতো এক কথায় অসাধারণ। 

৩০ গজ দূরে বল পেয়ে পায়ের জাদুতে জেরোম বোয়েটাংয়ে মাটিতে ফেলে এগিয়ে ডান পায়ের টোকায় নয়ারের মাথার ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন জালে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এ মৌসুমে ১১ ম্যাচে এটি মেসির দশম গোল। 

আর মোট ৭৭টি গোল নিয়ে রোনালদোকে ছাড়িয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা রেকর্ড আবার নতুন করে লিখলেন চারবারের বর্ষসেরা এই তারকা। 

ম্যাচের শেষের দিকে ‘অ্যাওয়ে’ গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণে উঠে গিয়েছিল বায়ার্নের খেলোয়াড়রা। 

বল পেয়ে মেসি বাড়ান ফাঁকায় থাকা নেইমারের দিকে। অনেকখানি দৌড়ে সামনে থাকা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।