Sunday, April 26, 2015

নেপালে ভূমিকম্পের কবলে বাংলাদেশী তারকারা

নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে আতংতিত হয়ে পড়েছেন নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশী শুটিং ইউনিটের সদস্যরা। এ সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় নাটকের শুটিং করতে নেপাল যান। 

সেখানে তার সঙ্গে ইউনিটে রয়েছেন অভিনেত্রী রুনা খান, অভিনেতা কল্যাণ ও শাহাদাত। ভূমিকম্পের সময় তারা নেপালের নাগরকোট নামের একটি স্পটে শুটিং করছিলেন।


 তাদের শুটিং স্থলের কাছাকাছি একটি পাহাড় ধসে পড়ে বলে জানা গেছে। এতে নাটকের ইউনিট আতংকিত হয়ে শুটিং বন্ধ করে দেয়। এদিকে ভূমিকম্পে রুনা খান আহত হয়েছেন বলে ঢাকা মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে ঢাকায় তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রুনার স্বামী জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। রুনা খান ও পুরো ইউনিট সুস্থই আছে।

নেপালে এ মুহূর্তে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী নাটকের শুটিং করতে ইউনিট নিয়ে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ, আনিসুর রহমান মিলন, অভিনেত্রী শমী কায়সার, সহকারী পরিচালক অমিতাভ রানা ও সুব্রত মিত্র।

 ঢাকার সূত্র জানিয়েছে, তারাও সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। তবে আপাতত শুটিং বন্ধ আছে। একটি বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ ইউনিটও এ মুহূর্তে নেপাল অবস্থান করছে। তবে তাদের ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

 এদিকে, প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকারাও নিজেদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাদের কেউ নিজেরাই হয়েছেন ভূমিকম্পের শিকার।

 কেউ আবার তৎক্ষণাৎ কিছু না বুঝলেও পরে অনুভূতি প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তেমন কিছু নির্বাচিত স্ট্যাটাস- কনকচাঁপা, কণ্ঠশিল্পী আলহামদুলিল্লাহ ... এখনও বেঁচে আছি... নিপুণ, অভিনেত্রী শুটিং, শুটিং, শুটিং। 

হঠাৎ দেখলাম আমার গাড়ি নাচানাচি করছে। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম ব্যাপার কি? পরে বুঝলাম সারা দেশে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইরেশ যাকের, অভিনেতা সাকিবরা, সাব্বির কালকে এমন মারা মেরেছে যে আজকেও ভূমিকম্প হচ্ছে মৌসুমি হামিদ, অভিনেত্রী মেকআপ নিচ্ছি।


 হঠাৎ করে মাথাটা ঘুরছে মনে হচ্ছে। এরপর অনুভব করলাম পুরো ঘরটা নড়ছে। সামনে পুকুর ছিল। পানি যেভাবে উথাল-পাতাল শুরু করল তা দেখে আসলেই ভয় পেয়েছি। বিদ্যা সিনহা মিম, অভিনেত্রী এইমাত্র ভূমিকম্প অনুভব করছি।

 আমাদের বাসার সবকিছু কেঁপে উঠছে। আরিফিন শুভ, অভিনেতা দেহ মন পৃথিবী সবই নড়ে ওঠলো... নাজনীন আক্তার হ্যাপি, অভিনেত্রী ভূমিকম্প কখন হল? তাও নাকি অনেক বেশি! ধুর আমি টের পেলাম না কেন?? মিস হয়ে গেল! পান্থ কানাই, কণ্ঠশিল্পী আমাকে ভালোই ঝাঁকাচ্ছে।


ওরে বাবা একটু আগে আরেকবার ফিডব্যাক ঝাঁকানি দিল... আমি আগেই বলছিলাম, পাকিস্তানরে এভাবে চুবানি খাওয়ানোটা ঠিক হয়নি... বর্ডা লাগসে... দুরু বদদোয়া লাগছে! আনজাম মাসুদ, নির্মাতা মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ শোকরিয়া বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হয়নি।

নুসরাত ফারিয়া, অভিনেত্রী সারা দেশে ভূমিকম্প হচ্ছে। দয়া করে নিরাপদে থাকুন। প্রসূন আজাদ, অভিনেত্রী জীবনে প্রথমবার এত বেশিক্ষণ ভূমিকম্প অনুভব করলাম। 

আজকেই হয়তো কেউ ফতোয়া দিয়ে বসবে এই ভূমিকম্প মেয়েদের দোষের জন্য হয়েছে! তারা পর্দাসীন হয়ে চলে না বলে দেশে ভূমিকম্প হচ্ছে! সাজু খাদেম, অভিনেতা অলস বিবাহিত লোকদের জন্য সুখবর, মাত্রই বিশাল ভূমিকম্প হয়ে গেল!

Saturday, April 25, 2015

ভূমিকম্পে নেপালে ৯৭০ জনের মৃত্যু

নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৯৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৮০ বছরের ইতিহাসে দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প এটি।

 শনিবার রাত পৌনে ৯টায় নেপালের পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 


এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ৯শ'র বেশি বলে উল্লেখ করা হয়। ওই মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি আরও জানায়, 'ভূমিকম্পে সারাদেশে অন্তত ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। শুধু কাঠমান্ডু উপত্যকাতেই ৫৩৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

অনেকে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন- উল্লেখ করে তিনি জানান, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ভূমিকম্পের পর ইন্দোনেশিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা। 

আক্রান্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সকল নিরাপত্তাকর্মীকে উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশের মুখপাত্র কমল সিং বলেন, 'উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

 আমরা আশঙ্কা করছি, ধসে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মৃতদেহ পাওয়া যেতে পারে।' মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, শনিবার স্থানীয় সময় ১১টা ৪১ মিনিটে নেপালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।


 শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের প্রভাবে নেপালের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও বাংলাদেশেও ভূকম্পন অনুভূত হয়। নেপালে ভূমিকম্পে রাজধানীর কাঠমান্ডুর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দারাহারা টাওয়ার ধসে পড়ে।

 এছাড়াও কাঠমান্ডু ও এর আশপাশের জেলায় আরও বেশ কিছু ভবন ধসে পড়ে এবং বেশ কয়েকটি স্থানে রাস্তায় বড় আকারের ফাটল দেখা দেয়।


আর যাই হোক ভূমিকম্প কিন্তু সাম্যবাদে বিশ্বাসী। এরা ধনী মারে। বস্তির গরীব লোকের ভূমিকম্পে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কম - রফিকুল ইসলাম পিএইচডি


জ্বরে কাঁপি, ভয়ে কাঁপি, মাঝে মধ্যে ইচ্ছা করে কাঁপি। আমার কাঁপাকাঁপিতে মানুষের কোন কিছু যায় আসে না। ভূমিও কাঁপে।

 এ কাঁপা কাঁপি নিয়ে মানুষ চিন্তিত। ভূমি কাঁপলে জানমালের ক্ষতি হবে। ভূমির কাঁপন মানে ভূমিকম্প নিয়ে মানুষের আতংকের শেষ নাই। 

আমরা জ্বরে কাঁপি। জ্বর হলে শরীরের কোষ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর আমাদের নিয়ন্ত্রন থাকে না। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো কাঁপতে থাকে। ছোটবেলায় দেখেছি শীতকালে মুখের চোয়াল কাঁপে। মাঝে মধ্যে কাঁপার পরিমান বেড়ে গেলে নীচের পাটির দাঁতের সাথে উপরের পাটির দাঁত লেগে ঠক্ ঠক্ আওয়াজ হয়। 

স্নায়ুতন্ত্র চোয়ালের উপর নিয়ন্ত্রন হারায়। আমরা না হয় কাঁপাকাঁপি করলাম। আমাদের স্নায়ুতন্ত্র আছে এবং নিয়ন্ত্রন হারায়। ইচ্ছা করেও আমরা কাঁপতে পারি। কিন্তু ভূমি কাঁপবে কেন? এর স্নায়ুতন্ত্র আছে কি ? পৃথিবীর কোন স্নায়ুতন্ত্র নাই। 


এটার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ভূমি কাঁপে না। পদ্মার পারে বাড়ী । প্রতি বছর পদ্মা ভাংগে। একুল ভাংগে ও কুল গড়ে। পদ্মার এই লীলা দেখতে দেখতে বড় হয়েছি।

 নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পদ্মার স্রোত, বাতাসে তৈরী ঢেউ-এর বাড়ি, ভিতর দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যায়। পাড়ের কিছু এলাকা কেঁপে উঠে ডেবে যায়। এক সময় পদ্মায় মিশে যায়। গ্রাম গঞ্জ বিলিন হয়।

 পদ্মার বুকে আঙ্গুল দেখিয়ে লোকে বলে এখানে বড় একটা গ্রাম ছিল। পদ্মার ভাংগনে ভূমি ধসের কাঁপন আমার দেখা হয়েছে।


 ভূমি কাঁপতেও দেখেছি। তেমন কোন ভীতির সৃষ্টি হয়নি। ১৯৬২ সালের গোড়ার দিকের কথা। বাবা তখনও বেঁচে আছেন। একটা মারফি রেডিও ছিল। পৃথিবীর প্লেটতত্ব্ব নিয়ে গবেষকগণ আলোচনা শুরু করেছেন। 

এই সূত্র ধরে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রেডিওতে ভূমিকম্প প্রবন এলাকা বলা হলে কি হবে। এক মুখ হতে আর এক মুখ এইভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়লো। বাংলাদেশে কয়েক দিনের মধ্যে ভূমি কম্প হবে। নদী ভাঙ্গনের ,ভূমি ধসের কথা জানা থাকলে ও ভূমিকম্প সমন্ধে কোন কথা জানা ছিল না। 

মানুষের চোখে মুখে ভীতি উদ্বিগ্নতা। সবাই জানতে চাই, ‘কবে কখন ভূমিকম্প হবে?' ‘ভূমিকম্প হলে কি হবে?' ‘ভূমিকম্প হলে কি করতে হবে?' 


আমাদের জমিতে কাজ করে ইউনুস চাচা। আমি স্কুলে লেখাপড়া করি। ভালো ছাত্র হিসেবে পরিচিত। চাচারও একই প্রশ্ন। ‘চাচা, আমার জানা নাই' - জবাব দিলাম। 'তোরা লেখাপড়া জানা লোক। যদি এ কথা বুলিস তাহিলে হাঁমরা কি করবো।' ইউনুস চাচা আক্ষেপ করলো।

 আমি চাচার মুখের দিখে অসহায়ের মত চেয়ে থাকলাম। ইউনুস চাচা জানতে চাইল। 'আলেপ কবর্যা জ বুলছিলো, ডুইব্যা লদী হইয়ে যাইব্যে। লদী ভুই হবে। বাড়ীঘর ডাইব্যা মাটিতে ডুইব্যা য্যাবে। বাবা এইট্যা কি ঠিক?'

আবারও অসহায়ের মত বললাম, 'জানি না বাবা।' জবাব শুনে ইউনুস চাচা রেঁগে বললো। ‘তাহিলে কি জানিস। লেখা পড়হা শিখছিস কির লাইগ্যা।' কথা বাড়াতে চাই না তাই চুপচাপ থাকলাম। ইউনুস চাচাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলল।


 ভূমিকম্প নিয়ে আলোচনায় ক্ষ্যামা দিয়ে উঠে গেল। সব ভাইবোনকে বাবা বিকালে ডেকে ভূমিকম্প হচ্ছে টের পাওয়ার সাথে সাথে আকাশের নীচে বসার উপদেশ দিলেন। বাবার কাছে জানতে চাইলাম, "ভূমিকম্প হচ্ছে কি করে টের পাবো।"

 তিনি জানালেন, "দরজার শিকল নড়বে। চেয়ারগুলো নড়াচড়া করবে।" বাবার উপদেশ থেকে বুঝলাম ভূমিকম্প হলে বাড়ীঘরের ছাদ চালা পড়ে যেতে পারে। ছাদের চাপা পড়ার হাত হতে রক্ষা পেতে হলে খোলা আকাশের নীচে যেতে হবে।

 বাবার কথায় বুঝলাম না জমি, নদী হলে রক্ষা পাবো কি করে? ক'দিন খুব ভয়ে ভয়ে কাটলো। বাবা মারা গেলেন। সত্যিকারের ভূমিকম্প দেখা না হলেও আমার জীবনে ভূমিকম্প ঘটে গেল। ভূমিকম্পের সেই ফাঁটল আজও হৃদয়ে।

 

হাটে, বাজারে, চায়ের দোকানে ভূমিকম্প নিয়ে আলোচনা চলছে। কবে হবে? হলে কি করতে হবে? হলে কি হবে? এই নিয়ে সবাই ব্যস্ত। গোদাগাড়ী কিছু পাকা দোতলা বাড়ী হয়েছে। একজন জানালো, খোলা আকাশের নীচে যেতে না পারলে খাটের নীচে লুকাতে হবে। বুঝলাম না।

 ছাদটা যদি ভেংগে পড়ে বেচারা খাট কি তা ঠেকাতে পারবে। সেই পাখিটার কথা মনে পড়লো যা আকাশের দিকে পাগুলো ছড়িয়ে ডানা মেলে থাকে। 

আমার মত অনেকের জিজ্ঞাসা, "কেন থাকে?" লোকে বলে, পাখিটা মনে করে আকাশটা ভেংগে পড়বে। ভেংগে পড়লে সে তা পা দিয়ে ঠেকাবে। আমার কাছে খাট আর পাখিটাকে এক মনে হলো। খাটের নীচে লুকানোর বুদ্ধিটা ভালো লাগলো না।


 মুচকি হাসলাম। কিছু বললাম না। ক'দিনবাদে ভূমিকম্প নিয়ে আলোচনা থেমে গেলো। এসএসসি পাশ করে রাজশাহী কলেজে পড়ি। ৪ তলা নিউ হোস্টেলের ২ তলায় থাকি। ভূমিকম্পের কথা মনে হলে ভাবি খোলা আকাশের নীচে যাওয়ার সময় পাবো তো। এইচএসসি পাশ করে বুলগেরিয়ায় পাড়ি দিলাম। 

এক বছর রাজধানী সোফিয়ায় বুলগেরিয়ান ভাষা শিখে ভানা শহরে থাকি। কৃষ্ণ সাগরের তীরে ২৪ তলা ছাত্রাবাসের ৪ তলায় আমার রুম। রাত ৯:৩০ মিনিট। আমি পড়ার টেবিলে বসে আছি। মনে হলো পুরো ব্লিডিংটা নড়ছে। এক দৌড়ে নেমে এলাম। আমার মত অনেক লোক নেমে আসছে। 


খোলা আকাশের নীচে নামলাম। হোস্টেলে বিবাহিত ছাত্র-ছাত্রীরাও থাকতো। এক মা বাচ্চাকে রুমে রেখে দিয়ে নিজে জীবন নিয়ে নেমে এসেছেন। ৩য় তলায় থাকে। বাচ্চাটা চিৎকার করে কাঁদছে। মেয়েটার স্বামী বাহিরে।

 হঠাৎ নিজেকে ফিরে পেয়ে আশেপাশের সবার হাত-পা ধরা শুরু করলো, "আমার ছেলেটাকে দয়া করে এনে দিন না, ভাই।" কে শোনে কার কথা। একজন ক্ষেপে গিয়ে বললো, "নিজে নিজের বাচ্চাকে ফেলে এসেছেন। এখন আপনার বাচ্চার জন্য কে জীবন দিতে যাবে?"

মা-টি লজ্জায় মাথা নিচু করে চুপ হলো। ২৪ তলার ঘরগুলো হতে কিছু ইট ছিটকে নিচে পড়েছে। বেশ কিছু মানুষ গিয়ে এগারো বারো তলার মাঝখানে লিফটে আটকা পড়েছে।


 এত কিছুর পরও মা-টির জন্য মায়া হলো। কাউকে কিছু না জানিয়ে সোজা তিনতলায় দৌড় দিয়ে বাচ্চাটাকে কোলে করে এনে তাঁর মাকে দিলাম।

 মা-টা কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। বললাম, "আপনার বাচ্চাটা নিন।" মা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে চুমু খেতে লাগলো। ভূমিকম্পের পর প্রায় ২ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। 


কেউ ঘরে ফিরছে না। আমি বললাম, "আর কিছু হবে না। চলেন ঘরে যাই।" আমার প্রস্তাবে কেউ রাজি হলো না। আমি একা ঘরে ফিরলাম। ইলেকট্রিসিটি ফিরে এসেছে। টিভিটা ছেড়ে দিলাম। ব্রেকিং নিউজ চলছে। পরে অনেকেই ফিরে আসলো। তবে ২৩ ও ২৪তলার কেউ ফিরে আসেনি।

 তাঁরা খোলা আকাশের নীচে রাত কাটালো। রুমগুলোর অবস্থা ফিরার মতও ছিল না। ভূমিকম্পের এপি সেন্টার রুমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট। কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭.৮। বুখারেস্ট শহর মাটির সংগে মিশে গেছে। 

রুমানিয়ার সাথে লাগানো ছোট্ট একটা শহর রুমে। সেখানে কিছু ঘরবাড়ি ধসে ৭৮ জন লোক মারা গেছে। জখম হয়েছে অনেক

। বুখারেস্ট-এর কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছে না। রুমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নিকোলাই চাউস্কেু আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য চাইলেন। মনে মনে ঠিক করলাম, টাকা কড়ি দেয়ার সামর্থ্য নাই। গায়ে গতরে খেটে উদ্ধার কাজ করে দিবো।

ভূমিকম্পের তিনদিন পর বুখারেস্টে গেলাম। ট্রেন থেকে নেমেই টের পেলাম লাশের গন্ধ। যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁরাও লাশের মত। বিদ্যুৎ, পানি, ডাক্তার, ঔষধ কিছুই নাই। জখম মানুষগুলো মরছে খাবার, পানি, চিকিৎসার অভাবে। গর্ত খুড়ে লাশ চাপা দিলাম ৫দিন। ৫দিন পর আমার করার মত আর কাজ নাই। 

বুলগেরিয়ায় ফিরে এলাম। বুখারেস্টের স্মৃতি আমাকে বলে দেয় বিশাল দালানের শহরে খোলা আকাশও অসহায় মানুষগুলোকে বাঁচাতে পারে না। ২০০৮ সাল। 

আমি নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব। একই সংগে একটা প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক। অনামিকা আজমী এই প্রকল্পের প্রজেক্ট সেক্রেটারী। শান্তিনগরে ৯তলায় তাঁদের নিজেদের ফ্লাটে থাকে।

 রাত ১১টার দিকে হঠাৎ বিছানাটা একটু নড়াচড়া করতে দেখা গেল। তারপর সব ঠিকঠাক তেমন কিছু হয়নি। পরদিন ভোরে দেখলাম পত্রিকায় লিখেছে ঢাকায় মৃদু ভূমিকম্প। ভূমিকম্প মোকাবেলার কোন প্রস্তুতি নাই। অনামিকা অফিসে এসেই, "স্যার, ভূমিকম্প টের পেয়েছিলেন?" জানতে চাইলো। 

জবাবে বললাম, "তেমন কিছু না।" শুনেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালো। "আমার মত নয় তলায় থাকলে টের পেতেন। পুরো বিল্ডিং দুলছিল" "মনে হচ্ছে খুব ভয় পেয়েছেন? মরতে চান না।" হেয়ালি করলাম। জবাবে সে বললো, "আমি মরতে চাই না। অনেকদিন বাঁচতে চাই। মাটি চাপা পড়ে মরবো, কিছুতেই না।" শুনে আমি হাসলাম। ২ বছর গত হয়ে গেছে। প্রকল্পটা শেষ হয়ে গেছে। অনামিকা চলে গেছে। তাঁর আরও একটা সন্তান হয়েছে। ২০০৯ সালে অতিরিক্ত সচিব হয়ে নির্বাচন কমিশনেই রয়ে গেছি।

 ২০১০ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর রোজা শেষ হলো। সকালে ঈদ। রাত ১১টা পার হয়েছে। শুয়ে শুয়ে টিভি দেখছিলাম। খাটটা নড়ছে। লাফ দিয়ে ছেলের কাছে আসলাম। বউ ছেলেকে বললাম, "ভূমিকম্প হচ্ছে।" ছেলে বললো, "চলো বাবা বাহিরে চলে যাই।"

 মনে পড়ে গেলো বুখারেস্টের কথা। কোথায় যাবো? উঁচু এই ইট-সিমেন্টের পাহাড় আমাদের ছাড়বে না। "কোন লাভ নাই, বাবা।" ছেলেকে বললাম। "কেন বাবা?" ছেলে জানতে চাইলো। তেমন কিছু হলে বাহিরে গিয়ে লাভ হবে না। তার আগেই সব শেষ হয়ে যাবে। আগুন লেগে যেতে পারে, মেইন সুইচ অফ করে দিলাম।


 এখন বিপদমুক্ত। সুইচ অন করে টিভি চালালাম। ব্রেকিং নিউজ। ঢাকাসহ সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। উৎপত্তিস্থল মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের মাঝখানে। কম্পন মাত্রা রিখটার স্কেলে ৪.৮। 


কম্পনটি সৃষ্টি হয়েছে ভুপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে। ৭০ কিলোমিটার দূরে মাটির ১৬ কিলোমিটার গভীরে তাই এই দশা। আর একটু কাছে হলে, একটু কম গভীরে হলে কি হতো কে জানে। শুয়ে পড়লাম সকালবেলা ঈদ।

 ঈদ শেষে রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে বঙ্গবভনে যেতে হলো। রাস্তা ফাঁকা। একটু আগেই পৌঁছলাম। তখনও মহামান্য রাষ্ট্রপতি কুশল বিনিময় শুরু করেননি। আমাদের একটা রুমে বসতে দেয়া হলো। রুমে ছড়াকার তালুকদার ভূমিকম্প নিয়ে জোক করছেন।


 অনেকে উপভোগ করছে। আমার ভালো লাগছিলো না। বিরক্ত লাগলেও হজম করতে হলো। ভাগ্য ভালো ডাক পড়লো। লাইনে দাঁড়ালাম। কুশল বিনিময়, পরিচিত জনের সংগে কোলাকুলি, সামান্য খাওয়া শেষে বাড়ী ফিরলাম।

টিভিটা খুলে বসে আছি। নীচে লিখা রাজশাহীসহ উত্তর অঞ্চলের সকল জেলায় মাঝারী ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থল আসাম। কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫.২। 

তেমন কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। গতরাতের ভূমিকম্পেও কোন প্রানহানি ঘটেনি। নারায়নগঞ্জে ২টি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। জনমনে আতংক বিরাজ করছে। মা ছোট ভাই থাকেন রাজশাহীতে। একতলা বাড়ী। ক্ষতি হয়নি জানি।

 তবুও খোঁজ নেয়ার জন্য টেলিফোন করলাম। সবাই খাওয়া দাওয়া গল্প গুজব নিয়ে ব্যস্ত। ছোট ভাইয়ের বড় মেয়ে টেলিফোন ধরলো। ভূমিকম্পের কথা বললাম। তারা জানেই না। টিভি দেখার টের পাইনি। ভালো টের পাইনি। 

না হলে ভয় পেতো। তাঁদের খুশিটাও শেষ হয়ে যেতো। টেলিফোন শেষ করে ভাবছি, রাতে ২বার মৃদু ভূমিকম্প মাদারীপুরে। পরের দিন আসামে। কেন এসব? কিসের লক্ষণ? কোন আগ্নেয়গিরি নাই আশেপাশে। লাভা উদগীরণ হয় না।


 তবে ভূমিকম্প কেন? জিজ্ঞাসার কোন জবাব পাচ্ছি না। উত্তরে আসাম। দক্ষিণে মাদারীপুর। প্রতিদিন বৃষ্টিতে ভূমিধসে হাজার হাজার টন মাটি, পাথর, বালি এসে পড়ছে মাদারীপুরের আশেপাশে। মধ্যে ঢাকায় আমরা টন টন ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে কংক্রিটের পাহাড় তৈরী করছি। 

আসামের পাহাড়, মাদারীপুরের নদী, সমুদ্র, ঢাকার জলাভূমি পৃথিবীর কোরে ভারসাম্য সৃষ্টি কর রেখেছিল। পৃথিবীর কোরে এ ভারসাম্য প্রাকৃতিকভাবে এবং মানুষের দ্বারা নষ্ট হয়েছে। পৃথিবীবে তা ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা ঘুম থেকে উঠে আড়মোড়া ভাংগি, ঢাকার ভূমিকম্প কি আড়মোড়া ভাংগা।

 না অন্য কিছুর লক্ষন! পত্রিকাগুলো লিখছে, 'আজ হোক, কাল হউক, বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হবে।' 'আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।' 

'মাঝারী থেকে বড় কোন ভূমিকম্পে ঢাকায়, ২ লাখ লোক মারা যাবে।' গরীব লোকে লোকারণ্য দেশ কি প্রস্তুতি নিবে। সবাই শুধু দুষছে সরকারকে। লেখাটা পড়ে আমার এক বন্ধু বললো, 'ভূমিকম্প নিয়ে ফাজলামো করছো। টের পাবা।'

জানি পাবো। পেলেও করার কিছু নাই। নিয়তিকে মেনে নিবো। এছাড়া আমাদের আর কিইবা করার আছে। আর যাই হোক ভূমিকম্প কিন্তু সাম্যবাদে বিশ্বাসী। এরা ধনী মারে। বস্তির গরীব লোকের ভূমিকম্পে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

রাজধানীসহ সারাদেশে ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শনিবার দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটের দিকে ভূমকম্পন অনুভূত হয়েছে। 


সময় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মানুষ বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ভূমকম্পের কেন্দ্রস্থল নেপাল। 


কেন্দ্রস্থলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ রিখটার স্কেল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, নেপালের লামজুং থেকে ৩৫ কিলোমিটার পূর্বে ভূমকম্পনের কেন্দ্রস্থল। 


কেন্দ্রস্থলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯ রিখটার স্কেল। 

এ দিকে রাজধানীতে প্রথম দফায় ভূকম্পনের প্রায় আধাঘণ্টা পর দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটের দিকে দ্বিতীয়বার খুবই কম সময়ের জন্য ভূকম্পন অনুভূত হয়।


বাংলাদেশের টেস্ট দল ঘোষণা


পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘোষিত টেস্ট দলে নতুন ডাক পেয়েছেন লিটন কুমার, মোহাম্মদ শহিদ ও সৌম্য সরকার।


 টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দলে নেতৃত্ব দেবেন মুশফিকুর রহিম। আগামী ২৮ এপ্রিল খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। 

এরপর সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটি আগামী ৬ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। টেস্ট সিরিজের আগে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ও টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসে এগিয়ে এখন টাইগাররা। 

ঘোষিত বাংলাদেশ টেস্ট দলে রয়েছেন- তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, শুভাগত হোম, সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন লিখন, রুবেল হোসেন, শাহাদাত হোসেন ও মোহাম্মদ শহীদ।

এক সিনেমায় ১০০ কোটি ডলারের রেকর্ড!

হলিউডের রেকর্ড সংখ্যক আয়ের কৃতিত্বে যুক্ত হলো 'ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস সেভেন' সিনেমার নাম। দ্রুততম সময়ে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি ডলার আয়ের রেকর্ড এখন 'ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস সেভেন'র দখলে।

 পরিচালক জেমস ওয়ান নির্মিত সিনেমাটি ১৭ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়। ইতোমধ্যে এটি আয় করেছে ২৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।

এছাড়া মুক্তির ১৭ দিনের মাথায় ৭৩ কোটি ৫২ লাখ ডলার আয় করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। এদিকে, সিনেমাটি মুক্তির ১৭ দিনের মাথায় প্রথমবারের মতো কোনো সিনেমা এক বিলিয়ন ডলার আয় করে। 


এর আগে ‘ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’ সিরিজের সপ্তম কিস্তির আগে ১৯ দিনে শত কোটি ডলার আয়ের রেকর্ড ছিল।

ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস সেভেন' মুক্তির দিন থেকেই একের পর এক রেকর্ড গড়ছে সিনেমাটি।

Friday, April 24, 2015

এবার অসম প্রেমের ছবিতে হ্যাপী

ঢাকা: নতুন একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন হালের আলোচিত নায়িকা হ্যাপী। কাশেম মণ্ডলের ‘নীল দৃষ্টি’ ছবিতে দেখা যাবে হ্যাপীকে। 

২৮ এপ্রিল থেকে পুবাইলের বিভিন্ন লোকেশনে ছবিটির শুটিং শুরু হবে।

অসম প্রেম ও ভৌতিক কাহিনীর ওপর ছবিটি নির্মিত হবে বলে জানান হ্যাপী। তিনি বলেন, ছবির গল্পে দেখা যাবে আট-দশ বছরের একটি ছেলে বাড়িতে একা থাকে।

 প্রতি রাতে সে ভায়োলিন বাজায়। ছেলেটির একাকিত্ব দেখে আমি তাকে সঙ্গ দিতে শুরু করি। কিন্তু একটা সময় ছেলেটি আমার প্রেমে পড়ে যায়। আমাকে সে তার ভালো লাগার কথা বলে। আমি তার প্রস্তাবে সাড়া না দিলে সে আত্মহত্যা করে।


 এর পর থেকে আমার স্বাভাবিক জীবনে নানা অশান্তি সৃষ্টি হয়। হ্যাপী বলেন, গল্পটি প্রথম শুনেই ভালো লেগেছে। এ ধরনের গল্প নিয়ে আমাদের দেশে সাধারণত চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় না। অভিনয়ের পাশাপাশি ১ মে থেকে নিজের উদ্যোগে একটি বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনার কাজ হাতে নিয়েছেন হ্যাপী।

 মিরপুরে অবস্থিত এই বৃদ্ধাশ্রমের ব্যয় তিনি একাই চালাবেন। এই বৃদ্ধাশ্রমের সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০। হ্যাপী জানান, তিনি অভিনয় থেকে প্রাপ্ত তার সব আয় বৃদ্ধাশ্রমের পেছনে ব্যয় করবেন।


হ্যাপির নতুন মিউজিক ভিডিও ‘জানি তুমি আসবে ফিরে’ ( ভিডিও)

‘নীল আকাশে কালো মেঘ জমেছিল একদিন। কী ভুল আমি করেছিলাম বলোনি কোনোদিন। জানি তুমি আসবে ফিরে, স্বপ্নভরা জীবন নিয়ে'

এই গানটির সুর করেছেন জুয়েল মোর্শেদ এবং কণ্ঠ দিয়েছেন কনা ও ফাহিম ইসলাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইউটিউবে ফাহিম ইসলামের অ্যাকাউন্ট থেকে গানটির মিউজিক ভিডিও আপলোড করা হয়। 

আপলোডের পর এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশিবার অনলাইনে ভিডিওটি দেখা হয়েছে।

রাশেদ মজুমদারের পরিচালনায় মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন সংগীতশিল্পী ফাহিম ইসলাম ও চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি।


 তবে সংগীতশিল্পী কনা গানে কণ্ঠ দিলেও ভিডিওতে বাদ পড়েছেন তিনি। গানের মডেল হওয়া প্রসঙ্গে হ্যাপি বলেন, ‘গানটি অনেকখানি স্লো-মোশনের, যেটা আমার ভাল লেগেছে। গানের মিউজিক ভিডিওটাও খুভ ভালো হয়েছে। 

আশা করছি আমার ফ্যানরা এটি পছন্দ করবেন।’ উল্লেখ্য, হ্যাপি বর্তমানে কাশেম মণ্ডল পরিচালিত ‘নীল দৃষ্টি’ ছবির কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন চলতি মাসে ২৮ তারিখ থেকে। 

যেখানে হ্যাপিকে সম্পূর্ন ভিন্ন গেটাআপে দেখা মিলবে। এ ছবিতে নিজেকে জুতসই ভাবে দর্শকদের সামনে হতে নিজিকে প্রতিনিয়ত ঝালাই করছেন সুহাসিনী হ্যাপি।


বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে সার্বিয়ান মডেল মিনা


বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করলেন সার্বিয়ান মডেল মিনা চেতকোভিচ

এর দৃশ্যায়ন হয়েছে ঢাকা, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া দ্বীপ ও বান্দরবানে। এতে অভিনয়ের জন্য সার্ফিং শেখা ও লাইফ জ্যাকেট ছাড়া মাঝসমুদ্রে ভেসে থাকার পাশাপাশি অক্সিজেন মাস্ক পরে সমুদ্রতলে নেচেছেন মিনা।


‘হৃদয়ের রংধনু’র মুল ভাবনা কায়েস চৌধুরীর। এতে দেখা যাবে, তিন তরুণ ও এক বিদেশি তরুণী বেড়াতে এসে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় একটি দ্বীপে। 

ঘটতে থাকে রোমাঞ্চকর সব ঘটনা। ছবিটিতে আরও অভিনয় করছেন শামস কাদির, মুহতাসিন সজন ও খিং সাই মং মারমা।

 অ্যাডভেঞ্চার ধাঁচের ছবিটি পরিচালনা করছেন রাজীবুল হোসেন। তিনিই এর নির্বাহী প্রযোজক। রাজীবুল বাংলানিউজকে জানালেন, শিগগিরই ছবিটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছবিতে মোট গান থাকবে ছয়টি। এগুলোর সংগীত পরিচালনা করছেন শাকিব চৌধুরী, ফারহান ও নীলকণ্ঠ। শিগগিরই শিরোনাম-সংগীত ও একটি আইটেম গানের চিত্রায়ন হবে। এখন তারই প্রস্তুতি চলছে। ‘হৃদয়ের রংধনু’ প্রযোজনা করছে এআইএমসি

পুণমকে টক্কর দিতে ফেসবুকে খোলামেলা সানি (ভিডিও)


দুজনেই বলিউডের স্বল্পবসনা সুন্দরী। দুজনেরই সোশ্যাল সাইটে লক্ষ লক্ষ ভক্ত বা ফলোয়ার্স রয়েছে।

 ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে নিজেদের উত্তেজক ছবি পোস্ট করতে দু’জনেই সিদ্ধহস্ত। কিন্তু মঙ্গলবার সানি লিওন যে চাল চাললেন, তাতে মাত তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরা। 


ফেসবুক ও ট্যুইটারে নিজের উত্তেজক ছবি পোস্ট করে এদিন শোরগোল ফেলে দিলেন প্রাক্তন পর্নস্টার। মাইক্রো ব্লগিং সাইটে হয়ে গেলেন ট্রেন্ডিং।

 সানি বর্তমানে থাইল্যান্ডে শ্যুটিং করছেন। তবে তা কোনও সিনেমার জন্য নয়। সেখানে তিনি অ্যাড ফিল্মের জন্য শ্যুটিং করছেন। 

সানি যে দুটি ফটো পোস্ট করেছেন তা যথেষ্ট উত্তেজক। ভাইরাল হতেও বেশি দেরি হয়নি ছবিদুটি। তুলনায় সোশ্যাল সাইটে চুপ পুণম। 

তাহলে কী সানির জনপ্রিয়তার সঙ্গে টক্কর দেওয়া থেকে পিছিয়ে এলেন তিনি? উত্তর দেবে সময়ই।


সানি ও রণবিজয়ের উপস্থিতিতে জমে উঠবে এমটিভি স্প্লিটস ভিলার নতুন মওসুম (ভিডিও)



খোলা আকাশ, সুইমিংপুল, শান্ত-নিরিবিলি ভিলা অপেক্ষা করছে সানি লিওনের জন্য।

 তবে শুধু সানির জন্য নয়, যারা তার সঙ্গে থাকছেন তাদের জন্যও। এমটিভি স্প্লিটস ভিলার নতুন সিজন শুরু হতে যাচ্ছে। 

আগের সিজনের মতো সিজন ৮ সঞ্চালনা করবেন বলিউডের বেবিডল সানি ও রণবিজয়। প্রথমবার স্প্লিটস ভিলায় সানির উপস্থিতি নিয়ে শোরগোল উঠেছিল।

 কিন্তু আকাশছোঁয়া টিআরপির স্রোতে ভেসে যায় সে সব। আর সেই কথা মাথায় রেখে এবারও প্রযোজনা সংস্থা আমন্ত্রণ জানিয়েছে সানিকে। 

অন্যদিকে এমটিভির আরেক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘রোডি’ এর সুবাদে সানির সহউপস্থাপক রণবিজয়েরও ভক্ত কম নয়। তাই সানির ও রণবিজয়ের উপস্থিতিতে জমে উঠবে স্প্লিটস ভিলার নতুন মওসুম।

         (ভিডিও)

আনিসুলের কনসার্টে গাইবেন মমতাজ

আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঢাকা উত্তরের মেয়রপ্রার্থী আনিসুল হকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় এবার কনসার্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৮টার পর আনিসুল হকের প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) প্রথম কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে মহাখালী টিঅ্যান্ডটি কলোনি মাঠে। 

বিকেল ৩টায় কনসার্টটি শুরু হবে। এতে গান গাইবেন বাউল শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।

 এছাড়া, গান গাইবেন কণ্ঠশিল্পী পুতুল, পারভেজ, জয় শাহরিয়ার, কিশোর ও পুলক। 

সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এ কনসার্ট শেষ হবে।

 এদিকে, শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় পল্লবী থানা এলাকার হারুন মোল্লা মাঠে আরও একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। 

সেখানেও অংশ নেবেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ অন্যরা। দুটি কনসার্টই সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।


ফেসবুকে ভেরিফায়েড নুসরাত ফারিয়া

জনপ্রিয় মডেল ও উপস্থাপিকা নুসরাত ফারিয়া সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত হচ্ছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়ে। 

এর মাঝে আবারও আলোচনায় এলেন তিনি।

 দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের সর্বাধিক জনপ্রিয় সেলিব্রেটিদের মধ্যে তিনিও ঢুকে পড়েছেন। এটা অন্তত ফেসবুক কর্তৃপক্ষের মতে। 

কারণ গত ২১ এপ্রিল রাতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাঁর পেজটি যাচাই-বাছাই করে এর যথার্থতা নিশ্চিত করেন।

 ফলে এখন ফারিয়ার পেজের নামের শেষে নীল রঙের বৃত্তের মধ্যে সাদা টিক চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। ফারিয়া বলেন, ‘সত্যি এটি আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। ভেরিফায়েড হবার কথা শুনে আমি অভিভূত। 

এখন থেকে আরও সহজেই আমার ভক্তসহ যে কেউ ফেসবুকের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।’ 

নুসরাত ফারিয়ার ভেরিফায়েড পেজের ঠিকানা- https://www.facebook.com/nusraatfariaofficial?fref=ts

পরিচালকের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ



ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত। গত সোমবার তিনি ‘আরও ভালোবাসব তোমায়’ ছবির শুটিং স্পট থেকে ডিনারের কথা বলে ঢাকায় চলে আসেন। 

এই নিয়ে নতুন করে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। শুটিং ইউনিট সূত্র জানায়, গত ২০ এপ্রিল সিলেটে শুটিং চলছিল ‘আরও ভালোবাসব তোমায়’ ছবির। শুটিং শেষ করে রাতে সবাই যখন ডিনারের জন্য প্রস্তুত তখন পরীমনি একজন এমপির সঙ্গে ডিনারে যাওয়ার কথা বলে পরিচালকের কাছ থেকে বিদায় নেন। 

ওই রাতে একটি সংসদ সদস্য নেমপ্লেট লেখা গাড়িতে চেপে পরীমনি চলে যান। 

ওই রাতে পরীমনি আর হোটেলে ফেরেননি। পরদিন শুনি ঢাকায় চলে গেছেন পরীমনি। চলচ্চিত্রের এই আলোচিত নায়িকা হঠাৎ করেই শুটিং স্পট থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চলচ্চিত্রে নানা ধরনের মুখরোচক গুঞ্জন উঠেছে।

 এই নিয়ে এফডিসিতে কেউবা বলেন, সরকারদলীয় একজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে তিনি একই ফ্ল্যাটে থাকেন। সংসদ সদস্যের পাওয়ার কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পরীমনি খারাপ ব্যবহার করতে একটুও দ্বিধা করেন না। শিল্পের সঙ্গে বেয়াদবি করা মানায় না।

গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, পরিচালক এসএ হক অলিকের কাছে মানসিক হেনস্থা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন পরীমনি। 

এ প্রসঙ্গে এসএ হক অলিক বলেন, ‘প্রত্যেক পরিচালক শিল্পীদের কাছ থেকে ভালো কিছু দৃশ্য আশা করেন। আমিও ভালো ছবি উপহার দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। ভালো কাজ করতে হলে শিল্পীদের মাঝে মধ্যে একাধিক দৃশ্যধারণ করতে হয়। 

আমি শাকিব খান এবং পরীমনি দুজনকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। পরীমনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। শুটিং থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা যখন চারিদিকে আলোচনা বইতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই পরীমনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে গতকাল বুধবার সকালে সিলেটে শুটিং স্পটে পৌঁছান।

 সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুমিয়ে তারপর শুটিংয়ে অংশ নেন এই আলোচিত নায়িকা। এ প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘আমি ফিল্মি ক্যারিয়ারে বড় বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছি। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয় জানতাম।

 কিন্তু এখনকার নায়িকাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো প্রফেশনাল কাজে জড়িয়ে ফেলছেন। এটা আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য খুবই লজ্জাজনক।

 এভাবে চলতে থাকলে ভালো ছবি এবং ভালো অভিনেত্রী তৈরি হবে না। একজনের জন্য পুরো ইউনিটের কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে।

একদিনের শুটিং করতে না পেরে আমার অন্যান্য ছবির শিডিউলের ঝামেলায় পড়ে যাব।

এদিকে বুধবার সকালে পরীমনি নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি কারও সঙ্গে ডিনারে যাইনি। আমি আমার প্রফেশানকে রেসপেক্ট করে বুধবার ছবির শুটিং করতে সিলেটে যাচ্ছি। আমার সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।’ 

প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল পুরো ইউনিট নিয়ে এসএ হক অলিক ‘আরও ভালোবাসব তোমায়’ ছবির শুটিং করতে সিলেটে গেছেন। আগামী সপ্তাহে তিনি শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরবেন।

মোশাররফ করিম সেন্সলেস!


সমাজের আর দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক মানুষ না মোশাররফ করিম। সে আগুনে পুড়লে ব্যাথা পায় না, তার কোন অসুখ হয়না, ক্ষুধা, অনুভূতি নেই। তাকে বাসার সবাই সেন্সলেস বলে ডাকে।

সমাজের আর দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক মানুষ না মোশাররফ করিম। সে আগুনে পুড়লে ব্যাথা পায় না, তার কোন অসুখ হয়না, ক্ষুধা, অনুভূতি নেই। 


তাকে বাসার সবাই সেন্সলেস বলে ডাকে।পরিবারের কোন কাজ বা সিদ্ধান্তেই মোশাররফ করিমকে কেউ গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না। তার ৫০ বছর বয়সী বড় ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয় এক তরুণীর সাথে। মেয়েটার রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়ে যান মোশাররফ।

বুড়ো ভাইয়ের সাথে বিয়ে ভেঙে নিজেই মেয়েটাকে বিয়ে করার চেষ্টা চালান মোশাররফ

। শেষ পর্যন্ত তিনি কি পারবেন মেয়েটিকে বিয়ে করতে? দেখার জন্য চোখ রাখতে হবে নাটক ‘সেন্সলেস’-এ। আরিফ রহমানের রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, শায়লা, কচি খন্দকার প্রমুখ।

 শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটকটি।


বরুণের প্রশংসায় মাধুরী, বাদ শ্রদ্ধা কাপুর

‘এবিসিডি-২’ ট্রেলরে ধামাকাদার নাচের ঝলক দেখিয়েছিলেন বরুণ ধাওয়ান৷ বরুণ-শ্রদ্ধার প্রশংসা শুরু হয়েছিল বলিপাড়ায়৷

এবার বরুণের নাচের প্রশংসা এল বলিউডের ডান্সিং কুইন মাধুরী দীক্ষিতের থেকে। ট্রেলর দেখে ছবিতে নাচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মাধুরী৷

 যেটুকু নাচ দেখা গেছে তা যে তাঁকে মুগ্ধ করেছে তা খোলামনে জানিয়েছেন তিনি৷ এরকম একটা নাচের ছবির জন্য পরিচালক রেমো ডিসুজাকে অভিনন্দন জানিয়েছএন তিনি৷


 অভিনন্দন জানিয়েছেন তরুণ অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানকে। এ ছবিকে ইতিমধ্যেই ‘উইনার’ সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ 

ছবিতে শ্রদ্ধা কাপুরকেও ডান্স করতে দেখা গেছে৷ এই প্রথম শ্রদ্ধার ডান্সিং মুভি৷ যদিও শ্রদ্ধার জন্য কোনও শব্দ খরচ করেননি মাধুরী৷ 

আলাদা করে বরুণের নাম নিলেও শ্রদ্ধাকে কিছু বলেননি৷ অবশ্য ছবির গোটা টিমকেি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি৷ বলিউডি ছবিতে নাচের ক্ষেত্রে মাধুরী কিংবদন্তি৷ 

সমসাময়িক বহু নায়িকাকে তিনি এই ডান্স স্কিলে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন৷ অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরেও মাধুরী শাস্ত্রীয় নৃত্যে বিশেষ পারদর্শী৷

 নিজের ওয়েবসাইটে অনলাইনে নাচের প্রশিক্ষণও দেন তিনি৷ তাঁর থেকে ভালো নাচের সার্টিফিকেট তাই বরুণের মতো তরুণ অভিনেতার কাছে বাড়তি পাওনা৷

সানি লিওন বলিউডের বিষফোড়া : রাখি


'কুছ কুছ লোচা হে'র আইটেম গানে সানি শুধু শরীরই দেখিয়েছেন। এটাকে আইটেম গান বলতে আমি নারাজ।

সানি লিওন বলিউডের বিষফোড়া। কারণ কোনো ধরনের ট্যালেন্ট তার মধ্যে নেই। অভিনেত্রী কিংবা আইটেম গার্ল হিসেবে কাজ করার কোনো যোগ্যতাও তার নেই।

 কারণ সানির অভিনয় যেমন হাস্যকর তেমনি তার নাচও। জোর করে অভিনয় কিংবা নাচা যায় না। আর আইটেম গান করতে গেলে শুধু শরীর দেখালেই হয় না, নাচ অবশ্যই জানতে হবে। 'কুছ কুছ লোচা হে'র আইটেম গানে সানি শুধু শরীরই দেখিয়েছেন। 

এটাকে আইটেম গান বলতে আমি নারাজ। তবে আমি এটাও জানি, খুব বেশিদিন সানি বলিউডে স্থায়ী হতে পারবে না। আবারও আগের জায়গায় চলে যাবে সে। বলিউডে কাজ করা এতটা সহজ নয়।


সানি লিওন সম্পর্কে এমন বক্তব্য দিয়েই সম্প্রতি বোমা ফাটিয়েছেন বলিউডের আরেক আইটেম কন্যা রাখি সাওয়ান্ত। নানা ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে অতীতেও বার বার আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন তিনি।

 সম্প্রতি সানি লিওনের নতুন ছবি 'কুছ কুছ লোচা হে'র একটি আইটেম গান প্রচার শুরু হয়েছে। এই গানে ব্যাপক খোলামেলা হয়ে পারফর্ম করতে দেখা গেছে সানিকে। বিশেষ করে কয়েকটি দৃশ্যে বিকিনি পরে নাচের স্টেপ করেছেন তিনি এখানে।

 আর এই গানে সানির পারফরমেন্স বিষয়েই এমন বক্তব্য দিয়েছেন রাখি। তার মতে, এটি কোনো পারফরমেন্সই হয়নি। ঘন ঘন সানি যেভাবে আইটেম গান করছেন, এটা একদমই ঠিক নয় বলে মনে করেন রাখি। সানি এর মাধ্যমে আইটেম গানের জনপ্রিয়তা নষ্ট করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

সম্প্রতি মিডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাখি আরও বলেন, আমি, মালাইকা এবং কোয়েনা মিত্র কিন্তু আইটেম গানে ধারাবাহিকভাবে সফলতা পেয়েছি।

 আইটেম গানে পারফরমেন্স সম্পর্কে আমাদের কাছ থেকে সবার শেখা উচিত। সানি আইটেম গানের নামে যা করছেন সেটা কেবলই শরীর প্রদর্শন। 

কিন্তু পারফরমেন্সটা শূন্য। তাই আমি তাকে অনুরোধ করবো বলিউড ত্যাগের। যাকে দিয়ে যেটা হবে না সেটা করার দরকার কি! রাখির এমন অনুরোধ ও অভিযোগের বিপরীতে অবশ্য সানি লিওনের কোনো বক্তব্য এখনও মেলেনি।

চলচ্চিত্রের পর বিজ্ঞাপনে ফেরদৌস ও বিদ্যা সিনহা মিম

প্রায় ৭ বছর আগে হুমায়ূন আহমেদের 'আমার আছে জল' ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ফেরদৌস ও বিদ্যা সিনহা মিম।

এরপর থেকে তাদের আর একসঙ্গে দেখা যায়নি। দীর্ঘ সময়ের বিরতির পর আবারও জুটিবদ্ধ হয়েছেন তারা।

 তবে এবার চলচ্চিত্রে নয়, তাদের দু'জনকে দেখা যাবে একটি বিজ্ঞাপনে।


জেমস ডেভেলপমেন্টের এ বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করছেন রিপন নাগ। আগামী ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সিলেটের গ্র্যান্ড সুলতান হোটেলে বিজ্ঞাপনটির দৃশ্যায়ন হবে। 

তবে দৃশ্যধারণের আগেই বিলবোর্ডে ব্যবহারের জন্য ফটোশুটে অংশ নিয়েছেন ফেরদৌস ও মিম। হাবিব ওয়াহিদের সুর ও সঙ্গীতায়োজনে বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন হাবিব ও ন্যান্সি।

 মিম বলেন, "ফেরদৌস ভাইয়ার সঙ্গে 'আমার আছে জল' ছবির পর একবার একটা অনুষ্ঠানে নেচেছিলাম। অনেক বছর পর তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে।"


রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির গল্প ‘জ্যোৎস্নার অন্ধকারে’



গার্মেন্টস অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধানে ঘুরছেন মৌটুসি বিশ্বাস। হাতে স্বামীর ছবি। অন্যদিকে মুনিরা মিঠু খুঁজছেন তার ছেলেকে।

স্বজনকে খুঁজতে খুঁজতে এক হাসপাতালে মুখোমুখি হয় তারা দুজন। 

অগ্নিকাণ্ডে আহত এক যুবককে নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। মৌটুসি তাকে নিজের স্বামী আর মুনিরা মিঠু তাকে নিজের ছেলে বলে দাবি করে। 


এ কারণে সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আহত যুবকের সুস্থতার অপেক্ষায় সবাই।

 কে তার আসল স্বজন? এগিয়ে যায় ‘জ্যোৎস্নার অন্ধকারে’ নাটকের গল্প। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির একটি ভিন্নমাত্রার গল্প নিয়ে নাটকটি লিখেছেন পলাশ মাহবুব। পরিচালনা করেছেন হাসান মোরশেদ।


 নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌটুসি বিশ্বাস, মুনিরা মিঠুসহ আরও অনেকে। 

প্রচার হবে আজ রাত ৯টায় এসএ টেলিভিশনে। উল্লেখ্য, আজ সাভারের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস।


Thursday, April 23, 2015

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী মম, অভিনেতা মোশাররফ




চিত্রকুসুম পদকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী মম, অভিনেতা মোশাররফ


চারুনীড়ম ইনস্টিটিউট অব অ্যাক্টিং অ্যান্ড রিসার্চের আয়োজনে গত বুধবার রাতে শেষ হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী সপ্তম চারুনীড়ম টেলিভিশন কাহিনিচিত্র উৎসব। 

শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে উত্সবের সমাপনী আয়োজনের রাতে চারুনীড়ম ইনস্টিটিউটের পরিচালক গাজী রাকায়েত এ বছরের চিত্রকুসুম পদকে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন।


 আগামী বছর চারুনীড়মের কাহিনিচিত্র উত্সবের উদ্বোধনী দিনে মনোনীতদেরকে দেওয়া হবে এই চিত্রকুসুম পদক। ২০১৪ সালে বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত ১০ জন নতুন ও ১০ জন প্রতিষ্ঠিত নির্মাতার ২০টি কাহিনিচিত্র নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের উত্সব।

 এই ২০টি নাটক থেকে পাঁচটি বিভাগে ঘোষণা করা হয়েছে চিত্রকুসুম পদকে মনোনীতদের নাম।

এবার চিত্রকুসুম পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন শ্রেষ্ঠ কাহিনিচিত্র বিভাগে সুমন আনোয়ার। তার রচনা ও পরিচালনায় ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগ্রামী নাটকের জন্য এ মনোনয়ন পান তিনি।


 অক্ষয় কোম্পানির জুতো নাটকের জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক মনোনীত হয়েছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এ নাটকের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী মনোনীত হয়েছেন জাকিয়া বারী মম। 

অভিনেতা কাহিনিচিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন নবীন পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ। এতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছেন মোশাররফ করিম।

‘কাহিনিচিত্র হোক আমাদের চলচ্চিত্রের অনুপ্রেরণা’-এই উক্তিকে প্রতিপাদ্য করে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের উত্সব।

 ‘এক ঘণ্টার কাহিনিচিত্র বেঁচে থাকুক যুগ যুগ ধরে’-এই স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া উত্সবে নাটক ও টেলিছবি প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রতিদিন ছিল গাজী রাকায়েত পরিচালিত এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী মৃত্তিকা মায়ার বিশেষ প্রদর্শনী।


প্রথমবারের মতো ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী ও অহনা !


 সঞ্জিত সরকারের পরিচালনায় ধারাবাহিকটির নাম মামাবাড়ির আবদার। এটি রচনা করেছেন পরিচালক নিজেই।

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘দারুণ গল্পের নাটক এটি। অহনার সঙ্গে এবারই প্রথম ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি। 

আশা করি আমাদের নতুন রসায়নটা দর্শক গ্রহণ করবেন।’ কমেডি ঘরানার ধারাবাহিক মামাবাড়ির আবদার আরটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে।

সান্ড্রা বুলক বিশ্বসেরা সুন্দরী!

অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেত্রী সান্ড্রা বুলককে চলতি বছরে ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী’ নির্বাচিত করেছে পিপল ম্যাগাজিন।

কিন্তু সান্ড্রা তাতে আটখানা হননি আহ্লাদে, বরং ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করে বিষয়টি নিয়ে করেছেন রসিকতা!

 গত বুধবার ২০১৫ সালের শত সুন্দর মানুষের তালিকা প্রকাশ করে পিপল। তালিকার এক নম্বর নামটি সান্ড্রা বুলকের। 


গত বছর তালিকার শীর্ষে ছিলেন চলচ্চিত্র তারকা লুপিতা নায়ং’ও। পিপল ম্যাগাজিন থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সান্ড্রা তার স্বভাবসুলভ বিনয়ী হাস্যরসে বললেন, এ ব্যাপারটা স্রেফ হাস্যকর হয়েছে। 

প্রকৃত সৌন্দর্য্য শান্ত থাকে, বিশেষ করে এ শহরে। সুন্দর বলতে কী বোঝেন সান্ড্রা বুলক? চটপট উত্তর, যারা সুন্দর হওয়ার চেষ্টায় মত্ত থাকে না সবসময়, তাদেরই বেশি সুন্দর লাগে আমার। 

যদিও পিপল ম্যাগাজিনের এ তালিকা হেলফেলা করার মতো নয়। ১৯৯০ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বের একশ সুন্দর মানুষের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে আমেরিকার বিখ্যাত এ বিনোদন সাপ্তাহিকের পক্ষ থেকে।


 এখন পর্যন্ত তালিকার শীর্ষ ছুঁয়েছেন জোডি ফস্টার, মেগ রায়ান, টম ক্রুজ, মেল গিবসন, জুলিয়া রবার্টস, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, হ্যালি বেরি, লিওনার্দো ডি কাপ্রিও, জেনিফার লোপেজদের মতো হলিউডের নামীদামী তারকাগণ।

বলিউড অভিনেত্রী রানী মুখার্জীর প্রথম বিবাহবার্ষিকী

বলিউড অভিনেত্রী রানী মুখার্জীর প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালিত হয়েছে গত মঙ্গলবার। গত বছর ২১ এপ্রিল তিনি বিয়ে করেছিলেন বলিউডের নির্মাতা আদিত্য চোপড়াকে।

বিয়েটা হয়েছিল ইতালিতে গোপনে। ফলে এই বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দম্পতির কাছের অনেকেই।

 শুধু আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনরাই উপস্থিত ছিলেন বিয়েতে। এবার প্রথম বিবাহবার্ষিকীতেও যে খুব আয়োজনের ঘনঘটা ছিল, এমন নয়। প্রায় ঘরোয়া পরিবেশে আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে উদযাপিত হয় এই বিবাহবার্ষিকী। 

কুচ কুচ হোতা হ্যায় খ্যাত ৩৭ বছর বয়সী রানী মুখার্জী ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তিনবার। সাথিয়া, হাম তুম, ব্ল্যাক, মারদানি ইত্যাদি তার বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র। 

৪৩ বছর বয়সী চিত্রপরিচালক আদিত্য চোপড়া পরিচালিত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র দিলওয়ালে দুলহানে লে জায়েঙ্গে, মোহাব্বাতেইন, রব নে বানানা দি যদি ইত্যাদি।

দি হিন্দুতে মোস্তফা সরয়ারের ভূয়সী প্রশংসা


ভারতের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দি হিন্দু টিভি ব্যক্তিত্ব মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ভূয়সী প্রশংসা করে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।

গতকাল শনিবার পত্রিকাটির মতে ভারতের চলচ্চিত্র উৎসব ও চলচ্চিত্রের বাজারে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর উপস্থিতি উষ্ণ ও অন্তরঙ্গ। 

তার সিনে প্রকল্পগুলো এনএফডিসি ফিল্ম বাজারে নিয়মিতভাবে অর্থানুকূল্য লাভ করে থাকে। ভারতে তিনি এতটাই বেশি জনপ্রিয় যে, যখন তার কাজগুলো পুরস্কার অর্জন করেছে বলে ঘোষণা আসে তখন তারই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা সর্বাগ্রে তাকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে যান। 

ফারুকীর পরবর্তী সিনেমা ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ২০১৬ সালে মুক্তি পাবে। নিবন্ধকার নামান রমাচন্দ্রন এরপর মন্তব্য করেন যে, আমার মতো অনেকেরই এটা দেখতে তর সইছে না।

 লাভ দাই নেইবার্স বা প্রতিবেশীর জন্য ভালবাসা শিরোনামে প্রকাশিত এই নিবন্ধের সঙ্গে ফারুকীর টেলিভিশন (২০১২) চলচ্চিত্রের একটি পোস্টার ছাপা হয়েছে। লক্ষণীয় যে, ভারতীয় চ্যানেলে বাংলাদেশের টিভি নাটক ও সিনেমা এবং বাংলাদেশে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনসহ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে উত্তপ্ত আলাপ আলোচনার প্রেক্ষাপটে ঢাকার অনেক সিনেমাবোদ্ধা দি হিন্দুর এই নিবন্ধকে যথেষ্ট ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

 নামান রমাচন্দ্রন ওই নিবন্ধে লিখেছেন, বিশ্ব সিনেমার প্রসঙ্গ যখন আসে তখন আমরা প্রায়শ আমাদের তরুণতম প্রতিবেশী বাংলাদেশকে ভুলে থাকি। অথচ তারা তাদের স্বাধীনতা পরবর্তী চারদশকে বাংলা সিনেমায় বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে।

 এ প্রসঙ্গে তিনি প্রয়াত তারেক মাসুদ নির্মিত মুক্তির গান (১৯৯৫), মুক্তির কথা (১৯৯৯) এবং মাটির ময়নার (২০০২) উল্লেখ করে বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাসুদ ২০১১ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। 

তখন তরুণ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ঘরানার উত্তরাধিকারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে চলেন। ফারুকী ইতিমধ্যে বুসান, দুবাই ও রটারড্যামসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতা হিসেবে নিজের আসন করে নিয়েছেন। ফারুকী ২০০৯ সালে থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার, ২০১৩ সালে পিঁপড়া বিদ্যা, ২০১২ সালের টেলিভিশন দর্শকদের প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।

'মুসলিমস কিলিং জিউস' প্রচারে বাধা না দিতে নির্দেশ!

নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে তাদের গণ-পরিবহনে ‘ইহুদিদের হত্যা করছে মুসলিমরা’ এরকম একটি বিতর্কিত বিজ্ঞাপন প্রচারে বাধা না দিতে নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত।

বিজ্ঞাপনটি 'সন্ত্রাসবাদ' ও সহিংসতা উস্কে দিতে পারে এমন যুক্তিও বাতিল করে দেয়া হয় ওই নির্দেশে।

 মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত, আমেরিকান ফ্রিডম ডিফেন্স ইনিশিয়েটিভের (এএফডিআই) ওই বিজ্ঞাপনটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বর্ণিত বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তার দ্বারা সুরক্ষিত বলে ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট জজ জন কোয়েল্ট রায়ে বলেন।

 এএফডিআই'র এ ধরণের বিজ্ঞাপন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়াও বেশ কিছু যায়গায় প্রচার করা হচ্ছে। 

বিজ্ঞাপনে স্কার্ফ পরিহিত একজন 'ভীতিকর' মুসলিমের ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘ইহুদি হত্যা একটি ইবাদত, যা আমাদেরকে আল্লাহর আরো নিকটবর্তী করে।’ 

আরেকটিতে দেখা যাচ্ছে, 'আমাদের দুই সূত্র তৃতীয়াংশ আন্তর্জাতিক সহযোগিতাই ইসলামিক দেশগুলোতে যায়। ইসলামিক দেশগুলোতে সহযোগিতা দেয়া বন্ধ কর।' সূত্র : আল জাজিরা