Thursday, April 23, 2015

দি হিন্দুতে মোস্তফা সরয়ারের ভূয়সী প্রশংসা


ভারতের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দি হিন্দু টিভি ব্যক্তিত্ব মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ভূয়সী প্রশংসা করে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।

গতকাল শনিবার পত্রিকাটির মতে ভারতের চলচ্চিত্র উৎসব ও চলচ্চিত্রের বাজারে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর উপস্থিতি উষ্ণ ও অন্তরঙ্গ। 

তার সিনে প্রকল্পগুলো এনএফডিসি ফিল্ম বাজারে নিয়মিতভাবে অর্থানুকূল্য লাভ করে থাকে। ভারতে তিনি এতটাই বেশি জনপ্রিয় যে, যখন তার কাজগুলো পুরস্কার অর্জন করেছে বলে ঘোষণা আসে তখন তারই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা সর্বাগ্রে তাকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে যান। 

ফারুকীর পরবর্তী সিনেমা ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ২০১৬ সালে মুক্তি পাবে। নিবন্ধকার নামান রমাচন্দ্রন এরপর মন্তব্য করেন যে, আমার মতো অনেকেরই এটা দেখতে তর সইছে না।

 লাভ দাই নেইবার্স বা প্রতিবেশীর জন্য ভালবাসা শিরোনামে প্রকাশিত এই নিবন্ধের সঙ্গে ফারুকীর টেলিভিশন (২০১২) চলচ্চিত্রের একটি পোস্টার ছাপা হয়েছে। লক্ষণীয় যে, ভারতীয় চ্যানেলে বাংলাদেশের টিভি নাটক ও সিনেমা এবং বাংলাদেশে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনসহ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে উত্তপ্ত আলাপ আলোচনার প্রেক্ষাপটে ঢাকার অনেক সিনেমাবোদ্ধা দি হিন্দুর এই নিবন্ধকে যথেষ্ট ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

 নামান রমাচন্দ্রন ওই নিবন্ধে লিখেছেন, বিশ্ব সিনেমার প্রসঙ্গ যখন আসে তখন আমরা প্রায়শ আমাদের তরুণতম প্রতিবেশী বাংলাদেশকে ভুলে থাকি। অথচ তারা তাদের স্বাধীনতা পরবর্তী চারদশকে বাংলা সিনেমায় বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে।

 এ প্রসঙ্গে তিনি প্রয়াত তারেক মাসুদ নির্মিত মুক্তির গান (১৯৯৫), মুক্তির কথা (১৯৯৯) এবং মাটির ময়নার (২০০২) উল্লেখ করে বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাসুদ ২০১১ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। 

তখন তরুণ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ঘরানার উত্তরাধিকারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে চলেন। ফারুকী ইতিমধ্যে বুসান, দুবাই ও রটারড্যামসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতা হিসেবে নিজের আসন করে নিয়েছেন। ফারুকী ২০০৯ সালে থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার, ২০১৩ সালে পিঁপড়া বিদ্যা, ২০১২ সালের টেলিভিশন দর্শকদের প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।