Sunday, May 3, 2015

সারাদেশে ২৩ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরি করবে বেসিস

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ ভিশন এর অন্যতম পিলার ২০১৮ সাল নাগাদ ১০ লাখ আইটি প্রফেশনালস তৈরির কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় বেসিসের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম দেশব্যাপি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। 


এই লক্ষে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সকল বিভাগে বেসিসের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে শুধুমাত্র আগামী ৩ বছরে বিনামূল্যে ২৩ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বেসিস।

 অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) প্রকল্পের অধীনে এই জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া এই প্রকল্পের বাইরেও বেসিসের নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।


 বৃহস্পতিবার বেসিস সভাকক্ষে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ এ এসব কথা জানান বেসিস সভাপতি শামীম আহসান। 

এসময় বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এসডিসিএমইউ এবং এসইআইপি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক জালাল আহমেদ, অর্থ বিভাগের যুগ্ম-সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, বেসিসের সাবেক সভাপতি একেএম ফাহিম মাশরুর, বেসিসের কোষাধ্যক্ষ ও বিআইটিএমের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক শাহ ইমরাউল কায়ীশ প্রমুখ। 


এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বেসিসের মহাসচিব উত্তম কুমার পাল, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও বিআইটিএমের প্রধান উপদেষ্ঠা সৈয়দ আলমাস কবির, বেসিসের নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ প্রমুখ।

 বেসিস সভাপতি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে না পারলে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত অসম্ভব। উন্নত দেশে দক্ষ মানবসম্পদই মূল চালিকাশক্তি। ব্যক্তিগত জীবনেও যেমন দক্ষতা প্রয়োজন, তেমনই দেশের উন্নয়নেও দরকার দক্ষ মানবসম্পদ। 


দক্ষ জনশক্তি থাকলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সহজেই আকৃষ্ট হন। জনসংখ্যা বিস্ফোরণের দেশে রাতারাতি জনশক্তি বৃদ্ধি সম্ভব নয়। তাই আমরা জনশক্তি তৈরির উপর গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ ভিশন ঘোষনা করেছিলাম। 

এই ভিশনের চারটি পিলারের মধ্যে ১০ লাখ দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। 

এই প্রকল্পটি শেষ হলে তথ্যপ্রযুক্তি খাত তাদের প্রয়োজনীয় লোকবল পাবে ও প্রশিক্ষণার্থীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। ত্বরান্তিত হবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির যাত্রা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। 


এবছর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ ও পরবর্তীতে বাকি ৫টি বিভাগীয় শহরে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। প্রথম বছর ৫ হাজার ও পরবর্তী ২ বছরে ৯ হাজার করে প্রশিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।

 শুধু বিনামূল্যে প্রশিক্ষণই নয়, প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রতিমাসে ৩ হাজার ১৫০ টাকা করে শিক্ষাবৃত্তিও দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষণের বিস্তারিত ও আবেদনের পদ্ধতি বেসিস ((http://basis.org.bd/) ও বিআইটিএমের ওয়েবসাইটে (http://www.bitm.org.bd/) প্রকাশ করা হয়েছে। 


আগ্রহীদের এই ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর আবেদনকারীদের তিনটি ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে।

 আইটিতে ১২টি ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে ২টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের আওতায় একজন প্রশিক্ষণার্থী কেবলমাত্র একটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।