Tuesday, May 5, 2015

৯০তম টেস্টে ইতিহাসের হাতছানি

২০০০ সালে বাংলাদেশ দল ক্রিকেটের অভিজাত ফরমেট টেস্ট খেলা শুরু করে। এরই মধ্যে ৮৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে টাইগারদের।

 মাত্র ৭টি জয় আর ১২টি ড্র ও তিনটি মাত্র সিরিজ জয়ই প্রাপ্তি বলা চলে গত ১৫ বছরে। ওয়ানডেতে যতটা আলো ছড়িয়েছে, টেস্টে ঠিক তার বিপরীত চিত্র।

 ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের পর দ্বিতীয় জয়টি পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৪ বছর। ২০০৯-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ই নয়, টেস্টে কোন দলকে প্রথম হোয়াইটওয়াশ করারও স্বাদ নেয়। 


২০১৩- ১৪ টানা চারটি টেস্ট জয় আসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। একমাত্র জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই দুইবার টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে টাইগারদের। 

এবার সুযোগ এসেছে চতুর্থ সিরিজ জয়ের। দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলছে ইতিহাস পরিবর্তনের মিশন। ১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে জয়ই পায়নি, পরপর তিন ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশও করেছে। 

এরপর ৮ বছরে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয় তুলে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ড্রর স্বাদ নিয়েছে খুলনায় ১৪ বছর পর। 


এর আগে ৮টি টেস্টে কেবলই হার। সিরিজের শেষ ম্যাচ মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে শুরু হবে কাল থেকে। ৯০তম টেস্ট ম্যাচ জিতে গেলে ‘সিরিজ জয়’! আর ড্র করলে ‘সিরিজ ড্র’! দুটি হবে নতুন ইতিহাস। সেই সঙ্গে শত সমালোচনার জবাবও।

 পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল প্রথম টেস্ট খেলে ৮টি। এর মধ্যে ২০০১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (বাংলাদেশ-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা) পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। হার দিয়েই শুরু। 

এরপর ২০০২-এ বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম দ্বিপক্ষীয় ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। ২টিতেই হারের মুখ দেখে। ঠিক তার পরের বছরই পাকিস্তানের মাটিতে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে বাংলাদেশ।



 যথারীতি হার দিয়েই সিরিজ শেষ হয়। কিন্তু মুলতানে সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের অন্তর্আত্মা কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ দল।

 টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৮১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান ১৭৫ রানে গুটিয়ে গেলে ১০৬ রান এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে টাইহগাররা। তবে ১৫৫ রান তুলতেই শেষ হয় দ্বিতীয় ইনিংস। 

কিন্তু পাকিস্তানের সামনে টার্গেট থাকে ২৬১ রানের। আর সেই রান তুলতে গিয়ে অনেক নাটকীয়তার ম্যাচে মাত্র ১ উইকেটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। 


২০১১ সালে দেশের মাটিতে আরও দুটি টেস্ট খেললেও এতদিন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে মুলতানের সেই ম্যাচটিই ছিল টাইগারদের সেরা লড়াই। 


কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। সিরিজের প্রথম টেস্টে খুলনায় প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানের ঘাটতির পরও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দর্পের সঙ্গে টেস্ট ড্র করে বাংলাদেশ। 

তামিম ইকবাল দেশের মাটিতে প্রথম ডবল সেঞ্চুরির পাশাপাশি টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরি রেকর্ড গড়েন। সেই সঙ্গে ইমরুল কায়েসও সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখেন ভিন্নভাবেই। 

শুধু তাই নয়, স্পিনার তাইজুল ইসলামও টানা তিন ম্যাচে ৫ উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়েন। দেশের মাটিতে এমন জ্বলজ্বলে স্মৃতি এখন টাইগারদের এগিয়ে যাওয়ার বড় অনুপ্রেরণা।