কোথায় নেই আলিয়া। ছোট পর্দা, বড় পর্দা কিংবা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। সব জায়গাতেই বেশ সফলতার সঙ্গে জুড়ে আছেন হালে।
কিন্তু কী সেই রেসিপি, যেটা দিয়ে এমন মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন সবগুলো মাধ্যমকে। নিজেকে নিয়ে নির্মম রসিকতা করার বিষয়টাই হয়তো এখানে উঠে আসবে সবার আগে। একটু খুলেই বলা যাক।
কফি উইথ করন অনুষ্ঠানে ফাস্টেস্ট আনসারের খেলায় হুট করে বাকি প্রতিযোগিদের পিছু হটাতে গিয়ে বেজায় এক নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেন আলিয়া ভাট।
ভারতের রাষ্ট্রপতির নাম কী? এ প্রশ্নের বেফাঁস উত্তরটা আসে আলিয়ার মুখ থেকে। পৃথ্বিরাজ চৌহান ভারতের রাষ্ট্রপতি, এমন উত্তরের পর থেকেই আলিয়ার সাধারণ জ্ঞানের শূন্য ভাণ্ডার নিয়ে বেশ চটকদার কৌতুক ছড়িয়ে পড়তে থাকে বলিউডপ্রবণ সব ক্ষেত্রে।
বিভিন্ন বিনোদন মাধ্যমগুলোর ট্রল ভিডিও কিংবা সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মেমে, সবখানেই এমন নির্মম রসিকতাটা উঠে আসে সামনেও।
এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়, হোলিতে আলিয়ার অনুপস্থিতির বিষয়ে, প্রত্যুত্তরে আলিয়া তার অ্যালর্জির কথা বলে মাফ পেলেও আলিয়ার সাধারণ জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করা প্রশ্নটা করে বসেন এক সাংবাদিক।
‘হোলি কেন উদযাপন করা হয়?’ এমন প্রশ্নে জবাবে মুচকি হেসে রাগটা লুকোলেও আলিয়ার কাঠখোট্ট উত্তর দিয়ে বসেন, ‘না জানলে জিজ্ঞেস করবেন না। আচ্ছা আপনার কী জানা আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন এমকি বিশ্বের সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের নাম?
তাই এবার পন্থা পরিবর্তন করে আলিয়া নিলেন আÍঘাতী উদ্যোগ। উল্টো সোশ্যাল নেটওয়ার্কের জন্য বানালেন ট্রল ভিডিও, যেখানে নিজের সাধারণ জ্ঞান আর বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ে এহেন নির্মম রসিকতা নেই যে তিনি করলেন না। আর তাতে কম্ম সাবার।
দুর্মুখেরা নিন্দা ঝেড়ে, বরং সুনামই করল আলিয়ার এমন আÍসমালোচক বোধের। তবে বহুমাত্রিক আলিয়া সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস ভিডিও কিংবা গান গেয়েই ক্ষান্ত নন।
পাশাপাশি বিজ্ঞাপনেও বেশ চলছে তার দুরন্ত পথচলা। স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ারের পর থেকে অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে প্রেম নিয়ে বেশ আলোচনায় মুখরোচক গল্পে মোড়া ছিলেন আলিয়া।
সেখানে ক’দিন আগে আলিয়া ও সিদ্ধার্থের বর ও কনে সাজা ছবি দেখে তো দর্শকের চক্ষু চড়কগাছ। নাহ, ওদের কোনো ছবির সিকোয়েন্স তো এটা নয়। তাহলে? রহস্যের জাল খুলতে লাগল আরও কিছুদিন।
কোকাকোলার সাম্প্রতিক একটি টিভিসির দৃশ্য থেকে নেয়া ছবি নিয়েই এত গালগল্প ছিল চারদিকে। তবে সবকিছুর বাইরে সিনেমাতেও খুব মন্দ একটা এগুচ্ছেন না আলিয়া। করন জোহরকে দিয়ে শুরু করে সিনেমাটিক যাত্রাটা নিয়মিত বিরতিতে ভালোই যাচ্ছে।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এআইবির রিয়েলিটি শোতে খিস্তি-খেউড়ে অশ্লিলতার অভিযোগে আইনি বেশ ঝক্কি সামলাতে হল তাকে। তবে আপাতত ওসব কাটিয়ে ওঠায় ব্যাক-টু-ব্যাক শহীদ কাপুরের সঙ্গে ‘সানদার’ ও ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ছবি দুটি নিয়েই আপাতত মনযোগ আবর্তিত হবে আলিয়ার।
আসছে বছরের শুরুর দিকে অবশ্য রনবীর কাপুরের সঙ্গেও জুড়ছেন নতুন আরেক ছবিতে। এ সিনেমাটিক যাত্রাগুলোতে দর্শক প্রতিক্রিয়াটা যদি ঠিকঠাক মেলে তবেই ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে হয়তো আলিয়ার ক্যারিয়ারে।