Saturday, October 27, 2018

অন্ধকার জগতের দুই বাসিন্দা অপর্ণা-নাঈম

অন্ধকার জগতের দুই বাসিন্দার চরিত্রে জুটি বেঁধে অভিনয় করলেন অপর্ণা ঘোষ ও এফ এস নাঈম। পুরাণ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে নাটকটি।
 নাটকের গল্পে রাত্রী চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপর্ণা ঘোষ। শহরের জমজমাট বার ড্যান্সার সে। একদিন তার সঙ্গে পরিচয় হয় অন্ধকার জগতে আসা নতুন মুখ নীলের সাথে। এই নীল চরিত্রে দেখা মিলবে এফ এস নাঈমের। গল্পে দেখা যাবে, নীল রাত্রিকে স্বপ্ন দেখায়, ভারি মিউজিক, মধ্যবয়স্ক চোখ কিংবা হঠাৎ দুঃস্বপ্নে জেগে-আবিস্কার করা ফাইভস্টার কামরার বাইরেও নিঃশব্দ অরণ্য আছে।
আছে সফেদ জীবন, সংসার, ভালোবাসা। নীলের হাত ধরে রাত্রি পাড়ি দিতে চায় নিরবিচ্ছিন্ন জীবনের পথে, নিঃশব্দ অরন্যের পথে। কিন্তু ওদের ভাবনাতেই যেন পিছু নেয় গুপ্তঘাতক সমুদ্র। ওরা বুঝতে পারে ওদের প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করছে কেউ। তাদের আশেপাশেই ট্রিগার তাক করে চুপচাপ অপেক্ষা করছে সুযোগের। রাত্রী যখন নীলের হাত ধরে শহর থেকে পালিয়েছে তখন একবারও মনে হয়নি দুজনের জীবনই অবলীলায় চলে গেছে কারো ইশারার অপেক্ষায়। নীল প্রাণপণ চেষ্টা করে কিছু অর্থ আর ট্রেনের টিকেটের, যা হাতে আসা মাত্রই স্থান পরিবর্তন করবে। অন্যদিকে নীলের অনুপস্থিতে ঘাতক পৌঁছে গেছে রাত্রির কাছে।

 সে রাত্রিকে বলে, যদি কাউকে ভেঙ্গে চুড়ে দিতে চাও, তাহলে তার হৃদয়টাকে ভেঙ্গে দাও, নীলের হৃদয় তো আপনি। নীল সেদিন অর্থ আর ট্রেনের টিকেট দুটোই পেয়েছিলো কিন্তু ফিরে এসে রাত্রিকে পায় নি। নির্মাতা সাদাত রাসেল বলেন, “জীবনকে অর্থ-শক্তি ধীরে ধীরে কব্জা করে ফেলছে, সেখান থেকে এক মাত্র প্রেম অথবা প্রণয়ই মুক্ত এক জীবনের জয়গান গাইবার সাহস রাখে। এই যে নীল আর রাত্রী হতে পারে ফিকশিয়াস দুটি চরিত্র কিন্তু এটা কি সত্যি না যে শক্তি-আর অর্থ দিয়ে ভালোবাসাকে ক্রমেই পন্য বানিয়ে যেখানে সেখানে বিক্রি হচ্ছে। আর এই বাণিজ্যের সুবিধা ভোগী আমাদেরি আশেপাশের সফেদ পোশাকধারী কিছু মানুষ।
 তাই আমরা শত বাধা সত্যেও জীবন আর ভালোবাসার পোট্রট করতে চাই।” নাটকে বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত। নির্মাতা জানান, আগামী ২৭ অক্টোবর রাত ৮টায় নাটকটি প্রচারিত হবে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে।